কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক রেজিস্ট্রার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে নিয়ে কর্মচারীদের মানববন্ধনে উল্লেখ করা বিভিন্ন অভিযোগের প্রতিবাদে ও কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনের পাশাপাশি তিনদিনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেয় তারা।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্লেকার্ড, ব্যানার নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পাশাপাশি রোববারের ভিতরে কর্মচারীদের বিচারের দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করা এ মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক শান্ত, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল শাখার সভাপতি ইসরাত জাহান জেরিন এবং সাধারণ সম্পাদক অপর্ণা নাথ বিজ্ঞান অনুষদের সভাপতি জিলান আল সাদসহ আরো অনেকে। নেতৃত্ব দেওয়া এই কয়েকজন মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কাছে একটি লিখিত স্মারকলিপি জমা দেন।

ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ বলেন, একজন শিক্ষককে মিথ্যা ও বানোয়াট অপবাদে ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা কর্মচারীরা অপমান করার সাহস পায় কোত্থেকে? যারা তেল দিয়ে চলতো তারাই এখন স্যারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে শিক্ষক অবমাননার সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা এখনের চেয়েও কঠোর অবস্থানে যাব।

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল হক শান্ত বলেন, স্যারের বিরুদ্ধে যদি সত্যি কোন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে প্রশাসন এর সুষ্ঠু বিচার করুক। নয়তো স্যারের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া কুচক্রীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক।

এদিকে তিনদিনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে একাডেমিক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানায় অনেকে। তারা প্রশাসনের কাছে উদাত্ত আহ্বান করছে যাতে দ্রুত এর সমাধান করা হয়।

মানববন্ধনে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আবু তাহের স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তবে করোনার কারণে এমনিতেই সেশন জটে আছি। এখন যে তিন দিনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করা হয়েছে তার দায় নিবে কে?

উল্লেখ্য, ২৩ আগস্ট সাবেক রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করার হুমকিসহ নানা ধরণের হেনস্তামূলক আচরণের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

তারই প্রেক্ষিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে নামে ও কর্মচারীদের বিচারের দাবিতে ৩ দিনেরক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে।